পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত দেশের বীমা খাতের অন্যতম কোম্পানি গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স সূচক ভিত্তিক শস্য বীমার আওতায় হাওর অঞ্চলের ৩১৬ কৃষকের বীমা দাবি পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদেরকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করবে।
কোম্পানি সূত্র মতে,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওর অঞ্চলের ৩১৬ জন বোরো ধান চাষী চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে ২২ মে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সূচক ভিত্তিক শস্য বীমা সুরক্ষার অধীনে ছিলেন।
এরই মধ্যে ২০ মে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোনিক ঝড় আম্ফান। এই সাইক্লোনের প্রভাবে বীমার অন্তর্বতী সময়ের শেষ তিন দিনে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় হাওর এলাকার কৃষক শস্যের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যার ফলশ্রুতিতে তারা এই বীমা দাবি পাচ্ছেন।
কোম্পানিটি বলছে, সারাদেশে করোনা মহামারীর প্রকোপ জনজীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে, যার ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পায়নি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোও। তা স্বত্তেও গ্রীন ডেল্টা জরাগ্রস্থ কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বীমা দাবি পরিশোধের সিদ্ধান্তে এগিয়ে এসেছে।
গ্রিন ডেল্টা সবসময় বিশ্বাস করে এসেছে যে দারিদ্র্যপীড়িত কৃষকদের জন্য সূচক ভিত্তিক শস্য বীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি নিরসনের মাধ্যম হতে পারে এবং তাদেরকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে পারে। আর্থিক ব্যবস্থায় বীমার অনুপ্রবেশ আর্থিক অবকাঠামো ও সার্বিক অর্থনীতির চাকাকেও মজবুত করবে।
গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান অক্সফাম বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান সানক্রেড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরীক্ষামূলকভাবে ২৮ এপ্রিল সিলেটের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওর এলাকায় ৩১৬ জন কৃষককে সূচকভিত্তিক শস্য বীমা সুবিধা প্রদান করেছিল।
বন্যাপ্রবণ হাওর এলাকায় আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিগ্রস্থ কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অর্থমন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তত্বাবধানে এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছিল।
হাওর এলাকার কৃষকদের এই বীমা দাবি প্রাপ্তি গ্রীন ডেল্টার বিশ্বাসের সত্যতা ও হাওর অঞ্চলের এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগের সফলতাই নির্দেশ করে। এই সফলতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বলা যায়, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সকল কৃষককে বীমা সুরক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হবে।