মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পুঁজিবাজারের অবদান বাড়াতে ভালো ও বহুজাতিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক। এই জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার ডিএসই’র প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলাপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট অনলাইনে ‘ডিমান্ড অব কোয়ালিটি আইপিওস অ্যান্ড রোল অব দি ইস্যু ম্যানেজারস’ শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই’র উপমহাব্যবস্থাপক ও প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলাপমেন্ট বিভাগের প্রধান সৈয়দ আল আমীন রহমান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো: ছায়েদুর রহমান এবং ডিএসই প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ। এতে অংশ নিয়েছেন মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
কাজী সানাউল হক বলেন, এটিবি এবং এসএমই বোর্ড দ্রুততম সময়ে চালু হবে। এ বোর্ড দুটি চালু হলে ডিএসইর লেনদেন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতি পুঁজিবাজারের অবদান পাশ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে অনেক কম। আর এ অবদান বৃদ্ধির জন্য ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানি দ্রুত তালিকাভুক্ত করতে হবে। আর এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে অবদান রাখতে হবে। এ কাজগুলো করতে পারলে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আরও বৃদ্ধি পাবে।
মূল প্রবন্ধে তিনি ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে ইস্যু ম্যানেজারের ভ’মিকা ও করণীয়, স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ডিএসইতে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বাধা ও প্রতিকারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পরবর্তীতে এ বিষয়ের উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো: সাইদুর রহমান এবং ডিএসই প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ।
মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো: ছায়েদুর রহমান বলেন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার জন্য যে সমস্যা রয়েছে তা অতিক্রম করার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। স্বচ্ছ অডিট রিপোর্টের জন্য কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ এবং ভাল কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারমূখী করার জন্য পরিশোধিত মূলধনের সাথে ঋণ গ্রহনের একটি মানদন্ড থাকতে হবে। আর এই বিষয়গুলো সমন্বিতভাবে করা গেলে ব্যাংক এবং পুঁজিবজার উভয়ই উপকৃত হবে।
ডিএসই প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সকল সূচক ইতিবাচক থাকার কারনে পুঁজিবজারের উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আর এজন্য পলিসি সাপোর্ট দিকে না তাকিয়ে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। ডিএসই’র এসএমই এর প্লাটফর্ম তৈরী আছে এবং সেকেন্ডারী প্লাটফর্ম অতিদ্রুত তৈরী হয়ে যাবে। এটিবিতে যেহেতু ফি এবং কমপ্লায়েন্স মূল বোর্ডের চেয়ে অনেক কম। আর এ দুটি বোর্ডকে সক্রিয় করার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে।