প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে আজ ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিকেলে এখানে তার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান ‘বাংলাদেশ মদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০’-এর খসড়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ তার চূড়ান্ত সম্মতি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রী ও সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে বৈঠকে যোগ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের যে আদেশে সামরিক শাসন আমলের সমস্ত আইনকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল, তার আলোকে বিদ্যমান মাদ্রাসা শিক্ষা অধ্যাদেশ, ১৯৭৮-কে সময়োপযোগী করার জন্য প্রস্তাবিত আইনটিতে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন যে খসড়া আইনে ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশের অধীনে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পূর্ববর্তী কার্যক্রমকে আইনি সুরক্ষা দেয়ার জন্য অনুচ্ছেদ ২৮ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাতে এর আগের কোনও কার্যক্রমকে অবৈধ বলে চ্যালেঞ্জ করা না যায়।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত আইনে দুটি বড় পরিবর্তন করা হয়েছে। খসড়া আইনে বোর্ড কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী করা এবং তাদের অবসর গ্রহণের বয়স অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডের মতো ৬০ বছর নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের অর্থায়নে নেপালের লুম্বিনিতে একটি বৌদ্ধ মন্দির স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং লুম্বিনী উন্নয়ন ট্রাস্টের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির একটি খসড়া অনুমোদন করেছে।
বৈঠকে গত ২১ শে মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর সংক্রান্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইসক্যাপ)-এর ৭৬ তম সম্মেলনে যোগদানের বিষয়ে অবহিত করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে মন্ত্রিসভার ৭১.৪৩ শতাংশ সিদ্ধন্ত বাস্তবায়ন হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই সময়ের মধ্যে মোট ২৮টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ২০টি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং বাকিগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।