চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের শঙ্কা, আমাদের প্রচলিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে ডায়াবেটিস মহামারি আকারে দেখা দিতে পারে। পাঠকের সুবিধার্থে আমরা সবসময়ই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ সব খাবার ও ফলমূলের কথা বলে থাকি। আমাদের আজকের আয়োজনেও রয়েছে ডায়াবেটিস প্রতিরোধী কিছু খাবার।
খেজুর: বাদামি এবং আঠালো এই ফলটি শুধু স্বাদে না পুষ্টিগুণেও ভাল। আঁশ সমৃদ্ধ এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের ভাল জলখাবার হতে পারে। গবেষকদের মতে, খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা আঙ্গুর, কমলা, ব্রোকলি (এক ধরনের ফুলকপি) এবং মরিচের সাথে তুলনা করা যায়।
দুধ: ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভাল উৎস। অন্যান্য দুধ জাতীয় খাবার যেমন, ঘরে বানানো পনির, কম চর্বিযুক্ত দই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে।
তিসির বীজ: আঁশ এবং আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিডের ভাল উৎস তিসির বীজ, যা শরীরে ওমেগা-৩ উৎপাদন করে। তিসির বীজ রক্তে শর্করা ও কোলেস্ট্রেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে তিসির বীজ।
সেইজ: ভেষজ এই উদ্ভিদটি শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এই উদ্ভিদটি জোরালো ভূমিকা রাখে। যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই ভেষজ উদ্ভিদটি। জামার্ন গবেষকদের মতে, এই উদ্ভিদটির রস খালি পেটে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। চায়ের সাথেও এই উদ্ভিদটি খাওয়া যায়।
মটরশুঁটি: মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শরীরের চর্বি ঝরাতে মটরশুঁটি উপকারী। সালাদ বা স্যুপের সাথে মটরশুঁটি খাওয়া যায়।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ