‘পরিবার ও সমাজ হোক নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের প্রতিরোধের দুর্গ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রয়োজনে সমাজে সবার সচেতনতা ও সবার সম্মিলিত সক্রিয়তা উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাবি শাখা। বৃহস্পাতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাধুরী রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাবি শাখা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপিকা মাস্তুরা খানম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোমেনা জিন্নাত, তৃণমূল সম্পাদক মনোয়ারা বেগম, রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সোহেল রানা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ের উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে অহরহ বাল্য বিবাহের ঘটনায় এক একটি প্রতিভার পতন ঘটানো হচ্ছে। এতে পুরো দেশের উন্নয়নের ওপর বিরাট একটি প্রভাব ফেলছে। এক পক্ষকে বাদ দিয়ে কখনো সামগ্রিক উন্নতি আশা করা যায় না। তাই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য বক্তারা আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ১৯২৯ সালের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী বরের বয়স ২১ বছর ও কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে বিবাহ হলে তা বাল্য বিবাহ বলে বিবেচিত হবে। মনে রাখতে হবে বাল্য বিবাহ একটি শস্তিযোগ্য অপরাধ। বাল্য বিবাহ রোধ করতে হলে এরকম বিবাহ হতে যাচ্ছে জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ ইউনিয়নের পরিষদে জানাতে হবে । এছাড়াও এ বিষয়ে সর্বস্তরের মানুষের সচেতন হওয়ার জন্য বক্তারা আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ও বিশ্ব নারী আন্দোলনের ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে একাত্ম হয়ে ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ এবং ১০ ডিসেম্বরকে বিশ্ব মানবধিকার দিবস হিসেবে পালন করছে। এবারে নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষের শেষ দিনে বাংলাদেশের ৬৩টি জেলার প্রায় তিন লক্ষ নারী কর্মী একযোগে এ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বলে মানববন্ধন থেকে জানানো হয়।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ