পাকিস্তানের করাচিতে অনুষ্ঠিত জামাত-ই-ইসলামীর রাজনৈতিক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন জখম হয়েছেন। সে দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডন নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে পাকিস্তানের জামাত-ই-ইসলামীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, গুলশান-ই-ইকবাল এলাকায় গতকালের সমাবেশের মূল জায়গা টার্গেট করা হয়েছিল। সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মিরান ইউসুফ বলেছেন, আহত ৩৯ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।
করাচিজানিয়েছে, গুলশান-ই-ইকবাল এলাকায় সমাবেশের মূল জায়গা নিশানা করেছিল হামলাকারীরা। জামাত-ই-ইসলামীর মুখপাত্র জানান, মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি ট্রাকের সামনে গ্রেনেড মেরে পালিয়ে যায়। ওই গ্রেনেড ফাটলে ৩৯ জন জামাত সমর্থক জখল হয়।
দেশটির পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা সাজিদ সাদোজাই বিস্ফোরণস্থলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন, হামলা চালাতে আরজিডি-১ গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল এক বছর আগে, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। ওই দিনের স্মরণে বুধবার সমাবেশের আয়োজন করেছিল জামাত-ই-ইসলামী।
এদিকে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সংগঠন সিন্ধুদেশ রেভ্যুলিউশনারি আর্মি (এসআরএ) করাচিতে গ্রেনেড হামলার দায় স্বীকার করেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এক পোস্টে হামলা চালানোর কথা তারা স্বীকার করে।
ডন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল মুস্তাফা হাসপাতালে পাঁচজন, জিন্নাহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে সাতজন, আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ১১ জন এবং লিকায়ত ন্যাশনাল হাসপাতালে ১০ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সূত্র : ডন নিউজ