আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৮ দশমিক ২৩৫ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে তার সচিবালয়ের অফিসে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার সাক্ষাৎকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
এসময় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের জন্য প্রয়োজনীয় ২০৫ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। সওজ অংশের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ করা হয়েছে এবং চবক অংশের অন্তর্বর্তীকালীন পিডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প সমন্বয়ক এবং চবক অংশের পিডি নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলমেন্ট প্রজেক্টটি এ বছরের ১০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটির অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ (প্রকল্প সাহায্য) ১২ হাজার ৮৯২ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, সরকারি অর্থ ২ হাজার ৬৭১ দশমিক ১৫ কোটি ও নিজস্ব অর্থ ২ হাজার ২১৩ দশমিক ২৫ কোটি টাকা।
জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল। অনুমোদিত প্রকল্পে দুটি কম্পোনেন্ট রয়েছে। বহুমুখী টার্মিনাল, কন্টেইনার টার্মিনাল ও অন্যান্য কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) এবং পোর্টের সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সড়ক সংযোগকারী ২৬ দশমিক এক কিলেমিটার (চারলেন বিশিষ্ট) মূল সড়ক, ১.৬ কিলোমিটার বাঁধ-কাম-সড়ক ও ১৭টি সেতু নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ভোলা নাথ দে, যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) মো. রফিকুল ইসলাম খান এবং যুগ্ম-প্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক এবং জাইকার রিপ্রেজেনটেটিভ ওয়াতারু ওসাওয়া উপস্থিত ছিলেন।