সাম্প্রতিক অতিবর্ষণ জনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরনের জন্য এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৩৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনসমূহ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চার কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার ৭’শ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৬ টাকা। গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ এক কোটি ৭৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৭৩৬ প্যাকেট।
এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩’শ বান্ডিল এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১’শ বান্ডিল, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে নয় লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।
বন্যাকবলিত জেলাসমূহ হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ।
বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬৩টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা এক হাজার ৭৩টি। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ১০ লাখ ১৭ হাজার ৯১৪টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ২৯১ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ জন।
বন্যাকবলিত জেলা সমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৪৩৭টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৫৭ জন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭০ হাজার ৭৯০টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৮৮৬টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩২০টি