কক্সবাজারে রাতের আধাঁরে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত চৌকশ মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার চার আসামির জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে আলোচিত ওই হত্যা মামলার আলোচিত আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩ আসামির রিমান্ড শুনানি এখনও শুরু হয়নি। শুক্রবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, আদালতের আদেশের কাগজপত্র পেলেই সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যার মামলায় আসামিদের রিমান্ড প্রক্রিয়া শুরু হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
এদিকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের পক্ষ থেকে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে কক্সবাজারস্থ টেকনাফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন টেকনাফ থানার সদ্য সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদ্য সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি বাকি ৪ আসামি এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
পরে বুধবার (৫ আগস্ট) তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। পাশাপাশি কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর কমান্ডারকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে ৬ আগস্ট বিকালে এই মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
সানবিডি/এনজে