সাজা হচ্ছেই। বৃহস্পতিবারই সে কথা বুঝে গিয়েছিল রুমান, নাসের আর সুমিত।
কোলকাতার আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরেই জানিয়েছিল, পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে তারাই দোষী। তিন জনের অপরাধই প্রমাণিত হয়েছে।
শুক্রবার সাজা ঘোষণার আগে বিচারক আলাদা আলাদা করে কথা বলেন রুমান খান, নাসের খান আর সুমিত বজাজের সঙ্গে। তিন জনেরই দাবি, তারা ধর্ষণে জড়িত নয়। তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
প্রথমে রুমানের সঙ্গে কথা বলেন বিচারক। রুমান বিচারককে বলে, সে তার পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। অভিভাবকদের বয়স হয়েছে। বাড়িতে দুই অবিবাহিত বোন রয়েছে। সে কথা মথায় রেখে আদালত নরম সিদ্ধান্ত নিক। আবেদন করে রুমান। বিচারককে সে এ দিনও বলে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সুজেট জর্ডনের ধর্ষণে কোনওভাবেই সে যুক্ত নয়, দাবি করে রুমান। বিচারককে সে অনুরোধ করে, পরিবারের কথা ভেবে ক্ষমা প্রদর্শন করতে। কম সাজা দেওয়ার আবেদন জানায় সে।
এর পর ছিল নাসের খানের পালা। বিচারককে নাসের জানায়, বিচার চলার সময় তার বাবা-মা প্রয়াত হয়েছেন। মাথার উপর আর কেউ নেই। নাসের জানায় সে মেধাবী ছাত্র। এই বয়সে দীর্ঘ দিনের জন্য জেলে ঢুকে গেলে জীবনে আর কখনও তার পক্ষে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সম্ভব হবে না। তাকে ফাসানো হয়েচে বলেই সাক্ষ্যপ্রমাণ তার বিপক্ষে যাচ্ছে বলে দাবি করে নাসেরও। কম শাস্তির অনুরোধ জানায় সে।
সুমিত বজাজ সবচেয়ে জোর দিয়ে দাবি করে, সে ধর্ষণের ঘটনার বিন্দুবিসর্গ জানত না। তাকে সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে রুমান বিচারককে বলে, তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। কারণ সে ভাল ছাত্র।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা