দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। সংস্থাটির মতে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের চাহিদা মিটিয়ে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। ব্রি’র সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর চালের উৎপাদন গতবছরের তুলনায় প্রায় ৩ দশমিক ৫৪ ভাগ বেড়েছে। গত বোরো ও আমন মৌসুমের উদ্বৃত্ত উৎপাদন থেকে হিসাব করে, জুন পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৩০ হাজার মিলিয়ন টন চাল ছিল। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর পরেও ৫৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশের অভ্যন্তরে উদ্বৃত্ত থাকবে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের চাহিদা মেটানোর পরেও দুই মাসের চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। এছাড়া, নভেম্বরের মধ্যে দেশের ‘ফুড বাস্কেটে’ নতুন আউশ ও আমন চাল যোগ হবে।
ব্রি’র গবেষণা বলছে, করোনায়ও দেশে চাল উৎপাদন বেড়েছে। গত দশ বছরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধান উৎপাদনকারী দেশগুলোর উৎপাদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১০ সালে যেখানে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল চতুর্থ, বর্তমানে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। যা দেশের জন্য বড় ধরনের অর্জন। একইসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তার।
জানতে চাইলে ব্রি-এর মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘আমরা মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত ৫টি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করি। এগুলো হলো—হাওরের ধান কাটা শ্রমিক ও যান্ত্রিকীকরণের ভূমিকা, সুপার-সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাব নিরূপণ, ধান চালের মজুদ পরিস্থিতি, বাজারমূল্যের প্রভাব, ৬৪ জেলায় কৃষকের মাঠের ফসল কাটা ও আউশ আবাদ পরিস্থিতি নিয়ে র্যাপিড সার্ভ।’
ব্রি-এর মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘গবেষণার জন্য দেশের কাটায় ৬৪ জেলায় এই সার্ভে করা হয়েছে। ’ সার্বিক দিক বিবেচনায় দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই বলেও তিনি মনে করেন।
সানবিডি/আরএম