চলতি বছরের নভেম্বর মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ এনজি একটি বিমান যুক্ত হবে। বাকি দু’টি যুক্ত হবে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। যদিও তিনটি বিমান এবছর মার্চ, মে ও জুনে সরবরাহ করার কথা ছিল কানাডার বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বম্বার্ডিয়ার ইনকরপোরেশনের। করোনার কারণে সময়মতো বিমানগুলো সরবরাহ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য নতুন ৩টি বিমান কিনতে বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে (জিটুজি) সরাসরি ক্রয় চুক্তি হয়। এজন্য ঋণ সহায়তা দিয়েছে কানাডা সরকারের প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডা’ (ইডিসি)। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে এই ক্রয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিমানের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমেদ ও কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের (সিসিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কার্ল মারকোট।
এ ব্যাপারে বিমান সূত্রে জানা গেছে, কানাডার বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বম্বার্ডিয়ার ইনকরপোরেশনের নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ এনজি যুক্ত হলে অভ্যন্তরীণ রুটে ব্যবহারের পরিকল্পনা বিমানের। কানাডার বম্বার্ডিয়ার ইনকরপোরেশনের সময়মতো তিনটি বিমান সরবরাহ না করতে পারায় লাভ হয়েছে বিমানের। করোনার কারণে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় ফ্লাইট কমেছে বিমানসহ সব এয়ারলাইন্সের। মে, জুন ও জুলাইয়ে বিমান তিনটি বহরে যুক্ত হলে ফ্লাইটে ব্যবহার করতে না পারলেও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ করা লাগতো। অন্যদিকে সময়মতো সরবরাহ করতে না পারায় বম্বার্ডিয়ার আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে বিমানকে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোকাব্বির বলেন, ‘ভয়াবহ করোনা মহামারির কারণে বম্বার্ডিয়ার সময়মতো উড়োজাহাজগুলো সরবরাহ করতে পারেনি। এখন নভেম্বরে একটি ও আগামী বছরের জানুয়ারিতে দুটি উড়োজাহাজ সরবরাহ করবে।’
সানবিডি/এনজে