পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন সহজ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার কমিশনে ৭৩৫তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে টি প্লাস থ্রিতে সেটেলমেন্ট জেট ক্যাটাগরির শেয়ার। এর আগে এটি টি প্লাস নাইনে সেটেলমেন্ট হতো। এর বাহিরেও জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির স্বচ্ছতা আনতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১.সকল স্পন্সর ও বর্তমান পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ বন্ধ থাকবে;
২.জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেনকৃত কোম্পানীসমুহকে ছয় মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে হবে;
৩.সকল ধরণের শেয়ার হােল্ডার মিটিং (এজিএম/ইজিএম) ই ভোটিং/ অনলাইনের সুবিধা প্রদানপূর্বক ডিজিটাল প্লাটফর্মে অথবা হাইব্রিড সিস্টেমে করতে হবে;
৪. যে সকল কোম্পানী দুই বছর বা তদূর্ধ সময় ধরে জেট ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত সেই সমস্ত কোম্পানি, পঁয়তাল্লিশ কর্মদিবসের মধ্যে চলমান বাের্ড পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও স্পন্সরগণ অন্যকোন তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে ও পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোন কোম্পানীর পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না;
কমিশন এক্ষেত্রে বিশেষ নিরীক্ষক ও কমিশন কর্তৃক পর্যবেক্ষক নিয়ােগের | মাধ্যমে বাের্ড পুনর্গঠন করে জেট ক্যাটাগরির কোম্পানীর সুশাসন নিশ্চিত করবে;
পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ চার বছরের মধ্যে কোম্পানীর সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হলে স্টক এক্সচেঞ্জ উক্ত কোম্পানীকে তালিকাচ্যুতিসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; এবং
এ বিষয়ে পূর্ববর্তী নােটিফিকশন এবং আদেশ বাতিল করে শীঘ্রই কমিশন কর্তৃক একটি নােটিফিকেশন ইস্যু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ৬(ছয়) মাস বা ততােধিক সময় কোম্পানির উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে; অথবা যদি পরপর ২দুই) বছর নীট কার্যকর লােকসান অথবা নেগেটিভ ক্যাশ ফ্লো অপারেশন থাকলে অথবা
যদি তালিকাভুক্তি কোম্পানীর পুঞ্জিভূত লােকসান তার পরিশােধিত মূলধনকে অতিক্রম করে; এছাড়াও, কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের জন্য কমিশনের অনুমতিক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জয় জেট ক্যাটাগিরিতে স্থানান্তর করতে পারবে।