স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইউজিসিতে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির’ ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৫ আগস্ট)ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন ইউজিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চেীধুরী।
কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ- এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
কমিশনের সচিব (অতিরিক্তি দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের সঞ্চালনায় সভায় ইউজিসি অফিসার্স এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ওমর ফারুখ ও ইউজিসি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো.আনোয়ার হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়া সভায় ইউজিসি’র বিভাগীয় প্রধান, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
স্মারক বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আজাদ চৌধুরী বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন। পাকিস্তান যেখানে কালো আইন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রয়াস চালিয়েছিল সেখানে বঙ্গবন্ধু সম্পূর্ণ বিপরীতে যেয়ে মুক্তবুদ্ধি বিকাশের পথ খুলে দেন। শিক্ষক সমাজ তাঁর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত ছিলেন। শিক্ষাখাতে বঙ্গবন্ধু্র স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদেরকে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে ওঠে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আকঁড়ে না থেকে কাজ করে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নেতা ছিলেন না তিনি ছিলেন সারাবিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা।
সভাপতির ভাষণে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে কারা ছিলো তাদের খুঁজে বের করতে হবে। বিশেষত যেসব দেশ বঙ্গবন্ধু হত্যার আগ মুহুর্তে বাংলাদেশের স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের কোন হাত বা যোগসুত্র ছিলো কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে দেশে অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। তিনি জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়া, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর প্রতিকৃতি ও কমিশন ভবনে অবস্থিত তার মুর্যালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সানবিডি/আরএম/