মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় দুটি অঞ্চল বাদে সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারী ও অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে, ১৫৫ মিলিমিটার; তারপরে কুতুবদিয়ায় হয়েছে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি।
আজ রোববারও (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের ওপরে) বৃষ্টিপাত হতে পারে।
রোববার (১৬ আগস্ট) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর উড়িষ্যা-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে ঝাড়খণ্ড এবং তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এলাকায় এবং লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান।
এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সানবিডি/আরএম/