স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের কারিগর উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার : সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ২০১৫-১২-১২ ২২:২৬:০৩


_DSC1871সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্যখাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের কারীগর ম্যাটস (মেডিকেল এসিসট্যান্ট) ও আইএমটির (মেডিকেল টেকনোলজি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও এলজিআরডি অডিটোরিয়ামে ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সেবার পথে শুভযাত্রা-২০১৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের চেয়ারম্যান জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সচিব ডা. জাহিদুর রহমান, ঢাকার আএইচটির সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা: কালাম আহমেদ, আলমাস আলী খান, ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের পরিচালক (প্রসাশন) তানজিনা খান, ট্রমা আইএমটি এন্ড ম্যাটসের প্রিন্সিপাল ডা. ইব্রাহানা ইসলাম, শ্যামলী ম্যাটসের প্রিন্সিপাল ডা. তাসনুভা আহমেদ, টাঙ্গাইল ম্যাটসের প্রিন্সিপাল ডা. নুরুল ইসলাম, ঘাটাইল ম্যাটসের প্রিন্সিপাল ডা. মো. তাজুল ইসলাম তালুকদার ও ইনস্টিটিউটসের সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের চারটি শাখার বিদায় ৬০০ শিক্ষার্থী।

ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্যখাতের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এর প্রমাণ স্বরূপ তিনি প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যাদের জন্য দেশের স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাচ্ছে, আর্ন্তজাতিক পুরষ্কার মিলছে তারাই হলো ম্যাটস (মেডিকেল এসিসট্যান্ট) ও মেডিকেল টেকনোলজি, তাদের নিরলস সেবার কারনেই স্বাস্থ্যখাতের বিরাট উন্নতি হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার তুলনায় চিকিৎসকের প্রচুর অভাব। তার পরেও ভাল চিকিৎসকরা গ্রাম-গঞ্জে থাকতে চায় না। ফলে গ্রামীণ পর্যায়ের সেবাখাত ধরে রেখেছে এসব মেডিকেল অফিসাররা। তা ছাড়া দেশে বিদ্যমান ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক যেগুলিতে সামান্য ট্রেনিং প্রাপ্তরা পরিচালনা করছে, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিতে ম্যাটস চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন এসব চিকিৎসকের কিছু চাওয়া-পাওয়া রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে সরকার অবহিত। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সে সব দাবি পূরণ করার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

শিক্ষার্থীদের উদ্যোশে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন খুবই গুরুত্বপূর্ন। কোনো অবস্থায় তা নষ্ট করা যাবে না। বিশেষ করে ট্রেনিং কালীন সময়ে ভালোভাবে মনোযোগী হতে হবে। এ বিয়ষে ভালো ভাবে শিক্ষারপ্ত করতে পারলে শুধুমাত্র দেশে নয়, বিদেশে ও চাকরি করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদের অর্জিত জ্ঞানের সবটুকু দিয়েই শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকদের উপরই নির্ভর করবে আগামী প্রজন্ম কেমন হবে।

_DSC1957সভাপতির বক্তব্যে বিদায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জিয়াউল হক বলেন, এ বিদায়, আসলে বিদায় নয়। এ বিদায় শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায়। সব শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে এ বিদায়রে সঙ্গে সঙ্গে দেশ ও জনগেণের সেবায় তোমাদের উপর দায়িত্ব কয়েকগুণ বেড়ে গেলো।

তানজিনা খান বলেন, শিক্ষা জীবনের অর্জিত জ্ঞান সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে হাতে কলমের শিক্ষাকে জোর দিতে হবে। কেননা হাতে কলমের জ্ঞান সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। অনুষ্ঠান শেষে বরেণ্য শিল্পীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।