গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের একটি আদালতে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানহানির’ অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু ছালেহ মো. নোমানের আদালতে অভিযোগটি করা হয়েছে। বিকেলে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
হাটহাজারীর পশ্চিম ধলই গ্রামের বিপ্লব দে অভিযোগটি করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিথুন বিশ্বাস বলেন, ঢাকায় ভাসানী পরিষদের এক সভায় রামায়ণ ও মহাভারত সম্পর্কে যে মন্তব্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করেছেন তাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানি হয়েছে।
তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) ও ৫০০ ধারায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা সমন জারির আবেদন করেছি। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে এ বিষয়ে বিকেলে আদেশের জন্য রেখেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৯ আগস্ট বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ সনাতন ধর্ম ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
এতে বলা হয়, জাফরুল্লাহ মন্তব্য করেন ‘হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ মহাভারত, রামায়ণ দুটোর মধ্যেই প্ররোচনা ও মিথ্যাচারের গল্পকাহিনী’ রয়েছে যা দৈনিক পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
রামায়ণ ও মহাভারত সনাতন ধর্মীয় দর্শনের ‘ভিত্তি’ উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ সম্পর্কে জনসম্মুখে দেওয়া বক্তব্য মনগড়া, আপত্তিকর, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক ও বেআইনি।
এতে আরও বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কু-মানসে প্রকাশ্যে এরূপ ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
এতে সনাতনী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি করায় অভিযোগকারী ব্যক্তিগতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত এবং সম্প্রদায়ের মানহানিতে নিজের মানহানি অনুভব করে অভিযোগটি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
সানবিডি/আরএম/