মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্স ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা
প্রকাশ: ২০১৫-১২-১২ ২২:৫৫:০৬
ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের ব্র্যান্ড মার্সেল আগামি বছর ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আজ শনিবার মার্সেল এর ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্সে একথা জানানো হয়। ’লেট্স গো এ্যাহেড টুগেদার (চলো একসাথে এগিয়ে যাই)’ এই স্লোগান নিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রায় মার্সেলের কারখানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কনফারেন্সে সারা দেশ থেকে আসা ৩০০ ডিস্ট্রিবিউটর অংশ নেন।
কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন আরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম। কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন আরবি গ্রুপের বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বক ইভা রিজওয়ানা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের পরিচালক তাহমিনা আফরোজ, এইচআরএম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, পিআর এন্ড মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবীর, ফরেইন ট্রেড মনিটরিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া, মার্সেলের বিপণন বিভাগের দুই প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব এবং শামীম আল মামুন, মার্সেলের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান প্রমূখ।
আরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী বলেন, মার্সেল যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের শীর্ষ ব্র্র্যান্ডে পরিণত হবে।
আরবি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম বলেন, দেশবাসীর কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে- গুনে মানে মার্সেল পণ্য অন্য সবার চেয়ে ভালো। অর্থ উপার্জন নয়, মার্সেলের লক্ষ্য ক্রেতাদের সেবা করা।
আরবি গ্রুপের পরিচালক তাহমিনা আফরোজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে মার্সেলকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মার্সেল বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, মার্সেল জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ডের নাম। বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে পাওয়া যাচ্ছে মার্সেলের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস। মার্সেলের বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছেন অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ মার্কেটিং টিম। সেইসঙ্গে ডিস্ট্রিবিউটরগণও মার্সেলের বিক্রি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন।
পলিসি, এইচআরএম ও এডমিন বিভাগের প্রধান এসএম জাহিদ হাসান বলেন, খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশের আঁনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে মার্সেল পণ্য। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটররা। তিনি বলেন, একসময় ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি করতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে চলে যেতো। কিন্তু, দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল দেশেই ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুত করায় প্রচুর পরিমাণ দেশীয় মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিও সুসংহত হচ্ছে।
মার্সেলের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর ও বিপণন বিভাগ (উত্তর) এর প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, আগামি বছর মার্সেলের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ শতাংশ। তিনি বলেন, গ্রাহকদের কাছে মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য আরো সহজলভ্য ও জনপ্রিয় করার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করার জন্য এই ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্সের আয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রযুক্তিতে উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে মার্সেল। শুরু থেকে মার্কেটিং এর ফোর পি (প্রোডাক্ট, প্লেস, প্রাইস ও প্রোমোশন) কে প্রাধাণ্য দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মার্সেল। এরই ফলশ্রুতিতে, গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হচ্ছে মার্সেলের। নিজস্ব কারখানায় উচ্চমানের পণ্য তৈরি ও বিক্রি করছে মার্সেল। গ্রাহকদের সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে চালু রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় ৬০টি সার্ভিস পয়েন্ট। বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫’শর বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
বর্তমানে, মার্সেল ব্র্যান্ডের ৩০টি মডেলের ফ্রিজ ও ৪৫টি মডেলের এলইডিটিভিসহ অসংখ্য মডেল ও ডিজাইনের হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস পাওয়া যাচ্ছে। চলতি মাসেও ৩টি নতুন মডেলের রেফ্রিজারেটর বাজারে এনেছে মার্সেল। খুব শীঘ্রই আরো ৫-৬ টি মডেলের ফ্রস্ট ও নো-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর বাজারে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়। সকালে কনফারেন্স শুরু হওয়ার আগে ডিস্ট্রিবিউটরগণ মার্সেল পণ্যের বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিটি সরেজমিন ঘুরে দেখেন। এবারের কনফারেন্সে মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। সবশেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।