দীর্ঘ মন্দার পর ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতির অন্যতম খাত পুঁজিবাজার। পুনর্গঠিত কমিশনের পুঁজিবাজার বান্ধব সিদ্ধান্তের কারণে বাজারমূখী হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আশার আলো দেখছেন ব্রোকার,মার্চেন্ট ব্যাংকারসহ সংশ্লিষ্টরা। আশায় আছেন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার। এই আশা বাঁধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে ডিএসইর ট্রেডিং প্লাটফর্ম ও ওয়েবসাইট। সারাদিন চেষ্টা করেও ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন,পুঁজিবাজার আলো ছড়ানো শুরু করেছে। কিন্তু আলোকে অন্ধকারে রুপ দিতে চায় ডিএসইর তথ্য প্রযুক্তি। লেনদেনের চাপ নিতে পারছে না ডিএসইর ট্রেডিং প্লাটফর্ম। অন্যদিকে তারা বলছেন, শেয়ার কেনাবেচার সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট কোনোভাবেই সরাসরি সংযুক্ত নয়। তবে শেয়ার ও লেনদেনের তথ্যসহ পুঁজিবাজার-সংশ্নিষ্ট বিভিন্ন তথ্যের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস অবশ্য এ ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফলে কোন তথ্য এখান থেকে নেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য গত ১৮ আগস্ট আপডেট ভার্সনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করে ডিএসই। তার পরের দিনই দেখা দেয় বড় ধরেনর ত্রুটি। বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীই ব্যবহার করতে পারেনি ডিএসইর ওয়েবসাইট। পরে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে লেনদেন সময়ও ১৫ মিনিট বাড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লেনদেন চলে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত।
এই জটিলতার বিষয়টি নজরে আসে কমিশনের। বিনিয়োগকারীদের স্বর্থের কথা বিবেচনা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যালয়ে ডাকা হয় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছানাউল হক ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জিয়াউল করিমকে। রোববারের মধ্যে এ সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একই সাথে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার তালিকা চেয়েছে কমিশন। আগামীতে এই ধরণের সমস্যা হলে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সানবিডিকে বলেন, ডিএসইর ওয়েবসাইটের সমস্যার বিষয়টি কমিশনের নজরে এসেছে। আমরা ডিএসইর সাথে বৈঠক করেছি। রোববারের মধ্যে এর সমাধানের নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, ডিএসই বলেছে সমস্যা সমাধানের জন্য তারা কাজ করছে। শিগগির এর সমাধান হবে। যাতে বিনিয়োগকারীরা সহজে ডিএসইর ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারে; সেই লক্ষে তারা কাজ করছে।