জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় আমদানিকৃত নিম্নমানের ও জমাট বাঁধা নষ্ট সার উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে ডিলাররা। শনিবার সকাল থেকে বিসিআইসি’র ডিলাররা এ সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে ৪১ হাজার মেট্রিক টন আমদানিকৃত ইউরিয়া সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মেসার্স আকলিমা ট্রেডাসের মালিক মো. আকবর আলীসহ আরো অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, প্রতি মাসে বিসিআইসি’র তালিকাভুক্ত ডিলারদের যমুনার ইউরিয়ার সঙ্গে আমদানিকৃত তিন মে. টন সার গ্রহণ বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। এই তিন মে. টন আমদানিকৃত সারের বস্তা দীর্ঘদিনের পুরনো, ছেঁড়া-ফাঁটা, জমাটবাঁধা, গলিত ও পঁচা থাকে।
এসব সার কৃষক ক্রয় না করায় মোটা অঙ্কের লোকসান গুণতে হয় ডিলারদের। আমরা ৩ মে. টন পরিবর্তে ১ মে. টন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ এটা সুরাহা না করায় শুক্রবার দুপুর থেকে আমদানিকৃত পঁচা সার বরাদ্দ বন্ধের দাবিতে সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দেন ডিলাররা।
কারখানার বিক্রয় বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মাসের ডিলারদের মধ্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪৭ হাজার ৮৫১ মে. টন। কারখানার কমান্ড এরিয়ায় প্রতি ডিলারদের বরাদ্দ ১২ মে. টন। এই ১২ মে. টনের মধ্যে যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত ৯ মে. টন ও বাইরে থেকে আমদানিকৃত ৩ মে. টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কারখানায় বাইরে থেকে আমদানিকৃত ৪০ হাজার ৯০০ মে. টন ও যমুনায় উৎপাদিত ৮২ হাজার ৬৮০ মে. টন সার মজুদ রয়েছে।
একযোগে সকল ডিলার আমদানিকৃত নিম্নমানের সার গ্রহণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে। সার সরবরাহ বন্ধ হলে উৎপাদিত সার মজুদ রাখার সমস্যা হবে বলে বিক্রয় শাখা জানায়।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুজিদ মজুমদার শনিবার জানান, ডিলাররা সার গ্রহণ বন্ধ রেখেছে। সারগুলো সরকার আমদানি করেছে, ডিলারদের তো নিতেই হবে। তবে যে সারগুলো ভালো সেগুলো ডিলারদের দেওয়া হবে এবং বিসিআইসি’র কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শিগগিরই সরবরাহ শুরু হবে।