টেলিযোগাযোগ খাতের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের পরিবহন বাসে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেবে সরকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলামেইলকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এ তহবিলে জমা হয়েছে ৭৬০ কোটি টাকা। এ অলস টাকা ব্যয়ের খাত নির্ধারণে বিটিআরসিতে আজ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সচিবালয়ে ফিরে তারানা হালিম বলেন, চার খাতে এ তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হবে। এগুলো হলো দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় ইন্টারনেট সেবার সম্প্রসারণ, তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পে তরুণদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনা, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা দেয়া।
দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ফাইবার অপটিক সংযোগ দেয়া হবে বলেও জানান তারানা। তিনি বলেন, যেখানে ফাইবার সংযোগ দেয়া যাবে না সেখানে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন (সংশোধিত ২০১০) অনুসারে ২০১০ সালে ১ আগস্ট সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) নামের একটি ‘তহবিল’ সৃষ্টি করা হয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণে এ তহবিল গঠন করা হয়। ২০১১ সালে মোবাইল অপারেটরগুলো টুজি লাইসেন্স নবায়নের সময় তাদের বার্ষিক মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করে বিটিআরসি। তহবিল ব্যবহারের বিধিমালা না থাকায় দীর্ঘ দিন এ অর্থের ব্যবহার শুরু হয়নি।
সূত্র জানায়, ২০১২ সালের জুন মাসে একটি বিধিমালা তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে (আগে ছিল মন্ত্রণালয়) পাঠায় বিটিআরসি। বিধিমালাটি অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৩ সালের ১৯ আগস্ট ‘ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ চেয়ে মন্ত্রণালয় বিটিআরসিতে তা ফেরত পাঠালে ৩১ অক্টোবর কমিশন এর জবাব দেয়। সে বছরের ডিসেম্বরে এ বিধিমালা অনুমোদন পায়। বর্তমানে তহবিলে ৭৬০ কোটি টাকা জমা হয়েছে।