করোনাভাইরাস আর বন্যা সবজি উৎপাদন, সরবরাহ আর বিপণনে বেশ প্রভাব ফেলেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। প্রতিদিনই বাড়ছে সব ধরনের সবজির দাম।
রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বেড়েছে দাম। বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। পটল, ঝিঙা, চিচিঙা, কাকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। ধুন্দল, মূলা, কচুর ছড়ার কেজি ৬০ টাকা। বেগুনের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা। পেঁপে, চালকুমড়া পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আকারভেদে কচু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। টমেটোর কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ধনিয়া পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। ঝাঁজ কমেনি কাঁচা মরিচের। আগের দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে শাকের দামও। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পুই শাকের দাম। আঁটিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লাল শাক, সবুজ শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পুই শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ডাটা শাক ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ শাক, কুমড়া শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, কলমি শাক ১৫ টাকা, কচু শাক ১৫ থেকে ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
দনিয়া থেকে শাক বিক্রেতা মো. শাহিন জানান, এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। এতে শাকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই দামও বাড়তি।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে পোল্ট্রি মুরগির দাম। এখন মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায়। আর দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায়। আর আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সানবিডি/আরএম/২.১১/২৮/৮/২০