পৌর নির্বাচনে নিজেদের নিশ্চিত পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে বিএনপির নেতাকর্মী বিরুদ্ধে দমনপীড়ন ও হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের যে ভয়াবহতা সরকার চালিয়ে যাচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় রোববার মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই এবং মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলামসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’

মির্জা আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ সদর পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মানুকে সঙ্গে নিয়ে শহরের মসজিদ মার্কেটে প্রচারণা চালাতে যান জেলার সিনিয়র নেতারা। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, শহর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমেদসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।’

এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘পেশি শক্তি প্রদর্শণ করে সারাদেশের মতো মুন্সিগঞ্জ সদর পৌর মেয়রের পদটি ছিনিয়ে নিতেই এই হামলা করা হয়েছে। বারবার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এ ধরণের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলেও কমিশন বরাবরের মতোই নির্বিকার রয়েছে।’

মির্জা আলমগীর বলেন, ‘পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হলো তার নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরণের হামলা বন্ধ ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনরোধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশবাসীর বুঝতে কষ্ট হবে না যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন অতীতের মতোই সরকারের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে বদ্ধপরিকর।’

আহত নেতাকর্মীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন- এই কামনা করে তিনি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।