ভারতের উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে দিল্লি ফেরার পথে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দিল্লির এক তরুণী। স্মার্টফোন থেকে হেল্পলাইনে ফোন করায় পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।

শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়।

এর আগে  নির্ভয়া নামে এক তরুণীকে চলনৃত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।

এফআইআর থেকে জানা গেছে, শনিবার একটি প্রাইভেট বাসে চেপে লখনউ থেকে দিল্লিতে ফিরছিলেন ওই তরুণী। তিনি দিল্লিরই বাসিন্দা। অভিযোগ, বাসটি যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আসার সময় ভোরের দিকে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওসময় বাসের অন্য যাত্রীরা ঘুমাচ্ছিলেন। ‘ধর্ষক’ ওই বাসেরই হেলপার।

ঘটনার পর ১১২ হেল্পলাইনে ফোন করেন নির্যাতিতা। বাসের মধ্যে যৌন নিগ্রহের কথা জানান।

পুলিশ মথুরার মান্ট টোলপ্লাজায় ওই বাসটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। বেসরকারি বাসটি টোলপ্লাজায় পৌঁছালে ওই তরুণী পুলিশকে তা জানান। পুলিশ প্রস্তুতই ছিল। নির্যাতিতার সঙ্গেই অভিযুক্তকে বাস থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়।

আরও যাত্রী থাকায় নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য বাসটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার আগে বাসে উঠে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান সেরে নেয় পুলিশ।

ঘটনার তদন্তকারী অফিসার জানান, ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ওই বাসের ক্লিনার। থানায় নিয়ে গিয়ে দুজনের সঙ্গেই কথা বলে পুলিশ।

অভিযুক্তকে প্রাথমিক জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, রবির বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বহরাইচ জেলায়। সে ওই প্রাইভেট বাসটির ক্লিনার। অভিযুক্তকে এদিন আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

এদিকে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে প্রতি সপ্তাহে রাজ্যের কোথাও না কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। বিরোধীরা সোচ্চার হওয়ায় যোগী সরকারও যথেষ্ট বিব্রত।

সানবিডি/আরএম/১.১৯/৩০/৮/২০