জীবীকার তাগিদে ভিয়েতনাম গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে ১০৬ জন প্রবাসী কর্মী ১৮ আগস্ট দেশে ফিরেছেন। প্রাণঘাতি করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট না থাকায় তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার (৩১ আগস্ট) কোয়ারেন্টিন শেষে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। রবিবার (৩০ আগস্ট) রাত থেকে তুরাগ থানার পুলিশ তাদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য, এমনকি মামলার জব্দ তালিকার মতো করে তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের তালিকাও করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য না পাওয়ায় ভিয়েতনাম ফেরতদের মধ্যে দেখা দিয়েছে গ্রেফতার আতঙ্ক।
১৮ আগস্ট ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ১০৬ প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরেন ভিয়েতনাম থেকে। বিকাল ৪টার দিকে ফ্লাইট থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর তাদের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নেওয়া হয় রাত ১১টার দিকে। এরপর বিমানবন্দর পুলিশের একাধিক ইউনিট, গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
ভাগ্য বদলানোর আশা নিয়ে গেলেও তাদের ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। কেউ কেউ শিকার হয়েছেন নির্যাতনের। এখন ভিয়েতনামে যারা আছেন, তারাও মানবেতন জীবন যাপন করছেন। তবে কোয়ারেন্টিন শেষে তাদের বাড়ি ফেরা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। রবিবার রাতে তুরাগ থানার উপ-পরির্দশক মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভিয়েতনাম ফেরতদের নাম, ঠিকানা, পরিবারের সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগেজ, মোবাইল ফোন ইত্যাদির তথ্যও সংগ্রহ করেছেন। ভিয়েতনাম ফেরতদের বলা হয়েছে, তাদের মালামাল যেন পরিবারের সদস্যরা এসে নিয়ে যান। তাদের কেরানিগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হতে পারে বলে জানালেও কী কারণে নেওয়া হবে তা জানায়নি তুরাগ থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে তুরাগ থানার উপ-পরির্দশক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'আমি শুধু ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে তাদের (ভিয়েতনাম ফেরত) তালিকা করেছি। তবে তাদের কী করা হবে, সে বিষয়ে আমি জানি না।'
সানবিডি/এনজে