পাক অধিনায়ক বাবর আজম ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে ইংল্যান্ডকে ১৯৬ রানের বড় টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।
বড় টার্গেট দেখে ধারণা করা হচ্ছিল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয়টি নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান।
তবে সেই ধারণাকে পাল্টে দিলেন ইয়ন মরগ্যানরা।
পাক বোলারদের তুলোধোনা করে প্রায় ২০০ ছুঁই ছুঁই টার্গেটও ছুঁয়ে ফেলেন স্বাগতিকরা। সফরকারীদের করা ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ ৫ বল হাতে রেখেই টপকে গেছেন ইংলিশরা।
২০ ওভারে ১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং টম ব্যান্টন।
বৃষ্টি বাগড়ায় পরিত্যক্ত প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন টম ব্যান্টন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও সেই ধারাবাহিকতা রেখেছেন তিনি।
এদিকে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া বেয়ারস্টো রোববার ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে।
এই দুই ওপেনারের খুনে মেজাজের ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভার থেকেই ৬৫ রান জমা করে ইংল্যান্ড।
এই ৬৫ রানে বেয়ারস্টোর অবদান ২৪ বলে ৪৪ এবং ব্যান্টন ১৬ বলে ২০ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে এক বলের ব্যবধানে মাঠে নামেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান ও ইয়ন মরগ্যান।
আর এই জুটিই খেলাকে পাকিস্তানের হাতছাড়া করেন। দুজন মিলে ১০.২ ওভার খেলে পাক বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ১১২ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন মরগ্যান।
কিন্তু তার আগেই পাক দলের সর্বনাশ করে দিয়েছেন এই ইংলিশ অধিনায়ক।
৬ চার ও ৪ ছয়ের মারে মাত্র ৩৩ বলে ৬৬ রান যোগ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মরগ্যান। মরগ্যান সাজঘরে ফিরলে জয় পেতে দরকার ছিল ১৮ রানের। আর হাতে উইকেট ৭টি।
তাই অনায়াসেই ১৪ বলে ১৮ রান পূরণ করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ডেভিড মালান।
৩৬ বলে ৫৪ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন তিনি।
এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে রইলেন স্বাগতিকরা।
এর আগে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড।
ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ বলের উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান তোলে পাকিস্তান।
ইনিংসের নবম ওভারে এসে এই জুটিতে ভাঙন ধরান আদিল রশিদ। ৭২ রানের জুটিতে ফখরের অবদান ২২ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৩৬ রান।
ফখরকে হারিয়ে হাফিজের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন বাবর। এরই মধ্যে ৩৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর।
বাবর-হাফিজ জুটিতেও কুঠারাঘাত করেন আদিল রশিদ। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করে স্যাম বিলিংসের হাতে ধরা দেন বাবর। মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গী হন শোয়েব মালিক। ৩৬ বলে ৬৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন হাফিজ। এতে ৫ বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার রয়েছে তার
ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ইয়ন মরগ্যানের ক্যাচে পরিণত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অলরাউন্ডার হাফিজ। শোয়ব মালিকের ১৪ রানসহ ৪ উইকেটে ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে পাকিস্তান।
তথ্যসূত্র: ইএসপিএন ক্রিক ইনফো
সানবিডি/এনজে