ভারতের ভোজপুরের রতনপুর গ্রামের কোনো মেয়েকে পারতপক্ষে বিয়ে করতে রাজী হচ্ছে না বরপক্ষ। ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছে কনের বাবা-মা এবং অভিভাবকরা। এর কারণ গ্রামে বরপক্ষ বিয়ে করতে আসলেই তাদের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। না কোনো ডাকাত কিংবা দস্যুবাহিনীর হামলা নয়, একদল বাঁদরের হামলায় গ্রামে ঢুকতেই পারছে না বরপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বিয়ে এভাবেই পণ্ড হয়ে যায়।
যখনই বরযাত্রী গ্রামে ঢোকে, কিছু দূর এগোতে না এগোতেই পড়িমরি করে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে পালায়। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন তাই ওই গ্রামে ভয়ে কেউ আর বিয়ে করতে যেতেও রাজি হচ্ছে না।
গ্রামবাসীরা জানান, কয়েক দিন আগের ঘটনা পাত্র তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে রতনপুরে বিয়ে করতে আসছিলেন। ব্যান্ডের বাজনার তালে তখন সবাই নাচে মশগুল। গ্রামে রাস্তা ধরে কিছু দূর এগোতেই বাঁদরের দলটি ঘিরে ধরে। প্রথমে কেউ তোয়াক্কাই করেননি বিষয়টায়। লাঠি-ইট নিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করে তাদের। কিন্তু বাঁদররাও যে কম যায় না, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পান তাঁরা কিছু ক্ষণের মধ্যেই। আরও বাঁদর এসে এ বার পাল্টা আক্রমণ করে বসে বরযাত্রীদের। তাঁদের উপর হামলা চালায়। অনেকেকই কামড়ে, আঁচড়ে, টেনে ফেলে দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাকি লোকজনেরা পগারপার। এই হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দেন তাঁরা।
এই ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকায়, চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন রতনপুরের বাসিন্দারাও। আর ইতিমধ্যেই এই হামলাকারীদের কাহিনি বহুদূর রটে যাওয়ায়, পাত্ররাও ওই গ্রামে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেন না।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ