শ্রীলঙ্কার কাছে ভারত মহাসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লেগেছে। বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল এবং ডিজেল রয়েছে ঐ ট্যাঙ্কারে। শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের নৌসেনা উদ্ধার কাজে নেমেছে। আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলে জানানো হয়েছে। ট্যাঙ্কার থেকে তেল লিক করেনি বলেও জানানো হয়েছে। তবে যে কোনও সময় লিক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু দিন আগেই জাপানের একটি তেল ট্যাঙ্কার থেকে তেল লিক করেছিল মরিশাসের কোরাল রিফে। প্রকৃতির ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার নৌ সেনা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, ফের যাতে ঐ ধরণের ঘটনা না ঘটে তার দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। খবর রয়টার্স ও ডয়চে ভেলে’র।
জানা যায়, ২ লাখ ৭০ হাজার টন অপরিশোধিত তেল এবং ১ হাজার ৭০০ টন ডিজেল নিয়ে কুয়েত থেকে রওনা হয়েছিল নিউ ডায়মন্ড ট্যাঙ্কার। ভারতের পারাদ্বীপে যাচ্ছিল জাহাজটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীলঙ্কা বন্দরের কাছে হঠাৎ আগুন লেগে যায় জাহাজটিতে। ২৩ জন কর্মী ছিলেন জাহাজটিতে। তার মধ্যে ১৮ জন ফিলিপিনো এবং ৫ জন গ্রিক। আগুন লাগার পর তা নেভাতে গিয়ে দুইজন কর্মী আহত হন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে একজন এখনও নিখোঁজ। পরে একটি পানামার ফ্ল্যাগ লাগানো জাহাজ বাকিদের উদ্ধার করে।
এরপরেই শ্রীলঙ্কা নৌ সেনার ছোট ছোট নৌকা যোগে জাহাজের সামনে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। নৌ সেনা জানিয়েছে, আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনও তেল লিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শ্রীলঙ্কা নৌ সেনার বক্তব্য, তেল লিক হলে তার সঙ্গে মোকাবিলা করার মতো ব্যবস্থা তাদের নেই। ভারত এর মধ্যেই তাদের নৌ সেনার একটি জাহাজ পাঠিয়েছে। আরও দুইটি নৌ সেনার জাহাজ পাঠানো হয়েছে। তেল লিক হলে ভারতীয় নৌ সেনা তার মোকাবিলা করবে বলে জানা গিয়েছে।
কিছু দিন আগেই মরিশাসের কাছে কোরাল রিফে জাপানের একটি জাহাজের তেল লিক হয়েছিল। ফলে কয়েক হাজার টন তেল পানিতে মিশে যায়। এতে সমুদ্রের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে জলজ উদ্ভিদ এবং প্রাণী। সে সময় বহু পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা অভিযোগ করেছিল, জাহাজগুলিকে ঠিকভাবে সংস্কার না করেই জলে নামিয়ে দেওয়া হয়। সে কারণেই এ ধরণের ঘটনা ঘটে। আর দুর্ঘটনা ঘটলেও জাহাজ কোম্পানির কিছু এসে যায় না। বীমা সংস্থা থেকে তারা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যায়।
সানবিডি/আরএম/১৭.৩১.৪/৯/২০