জেলার পাটকেলঘাটার কাপাসডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবু সাঈদ নামে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আটক করা হয়েছে সাত ডাকাতকে। তাদের ছোড়া বোমায় আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্য।
রোববার রাত ৩টার দিকে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সাঈদ যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার আওয়ালগাতি গ্রামের এলাহী বকসের ছেলে।
গুলিবিদ্ধ ডাকাতরা হলেন-পটুয়াখালী জেলার বেতাগির সুপখালী গ্রামের সুবেল খান (২২)। খুলনার কয়রা উপজেলার ঘুগরাকাটি গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৮), ওই জেলার একই উপজেলার বাগালি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আরিফুজ্জামান অনু (১৮)। তাদের পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আটককৃতরা হলেন-পাটকেলঘাটার আচিমতলার আবুল কাসেম (৩০), তৈলকুপি গ্রামের সুমন ইসলাম (২৮), সেনপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (২৭) ও বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার লাইনঝিরি গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৭)।
জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের কাপাসডাঙ্গায় রাকিব অটো রাইস মিলের কাছে গাছের গুড়ি ফেলে পরিবহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় এসআই মতিন ও এএসআই বেল্লালের নেতৃত্ব পাটকেলঘাটা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি যৌথ টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ও পরে বোমা ছুড়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। পুলিশও এ সময় পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ২০ মিনিট কথিত বন্দুকযুদ্ধের পর সড়ক ধারে চার ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান একটি রিভলবার ও কয়েকটি ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ডাকাত সর্দার আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করে।
কামাল হোসেন আরও জানান, ঘটনার সময় পুলিশ পলায়নপর আরও চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা কিছু মালামালও জব্দ করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় ডাকাতদের ছোড়া বোমার আঘাতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ইসমাইল হোসেন ও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তাদের সবার বিরুদ্ধে ডাকাতি চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলা বিষয়ক দুটি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান ।