পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির পরিচালকদের অন্য কোম্পানির তথ্য চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কাছে তথ্য চেয়েছে কমিশন। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজারের সাথে সম্পৃক্ত তালিকাভুক্ত কোম্পানি,মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি,ভ্যান্সার ক্যাপিটাল, ট্র্যাষ্টি,কাস্টডিয়ানসহ সকল প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছে বিএসইসি। রোববার (৬, সেপ্টেম্বর) থেকে জেড ক্যাটাগরির ২২ কোম্পানিকে বিএসইসিতে তলব নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। প্রতিদিন দুটি করে কোম্পানির শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক দিন সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে আর্থিক প্রতিবেদন,জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়ার কারণ,আগামী দিনের বিজনেস প্লান এবং কোম্পানির পরিচালকদের সকল তথ্য নিয়ে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। একই সাথে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে পরিচালকদের সকল তথ্য দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সূত্র মতে, ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারের সামগ্রিক উন্নয়নে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিশন। এরই অংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের স্বর্থের কথা বিবেচনা করে কমিশন তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোকে টি প্লাস থ্রিতে সেটেলমেন্ট নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুসাশন নিশ্চিত করার জন্য জেড ক্যাটাগরি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। অন্যদিকে জেডের কোম্পানিগুলোকে গ্রিন,ইউলো এবং রেড তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এ,বি,সি,জি এবং জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়ার ৬টি কারণও উল্লেখ করেছে বিএসইসি। কমিশনের সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে জেড থেকে এ ও বি ক্যাটাগরিতে এসেছে ১২টি কোম্পানি।
এ বিষয়ে কমিশনের মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সানবিডিকে বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বর্তমান কমিশন নিরলসভাবে কাজ কারে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর উন্নয়নে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সে আলোকে কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হবে; তাদের বর্তমান অবস্থার কারণ কী? এর থেকে উত্তরণে তাদের আগামী দিনের পরিকল্পনা কী? কোম্পানিগুলোর সাথে কথা বলে কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপে যাবে।
তিনি বলেন,কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে আগামীতে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিতে পুঁজিবাজারের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি থাকতে পারবে না।