ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু কসভোকে স্বীকৃতির দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন । এতেই জেরুজালেমে দূতাবাস খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাশিম থাচি। তবে কসোভোর এমন সিদ্ধান্তে বিরোধীতা করছে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে, কসোভোর এমন সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের প্রস্তাব ও ফলিস্তিনিদের উদ্দ্যেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, আমরা কসোভোর নেতৃবৃন্দকে আহ্বান করব জাতিসংঘের সিদ্ধান্তসমূহকে মেনে চলতে। এমন পদক্ষেপ জেরুজালেমের ঐতিহাসিক ও আইনি মর্যাদা ক্ষুন্ন করবে। এই পরিস্থিতিতে কসোভোকে ভবিষ্যতে অন্য দেশ স্বীকৃতি নাও দিতে পারে।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন পদক্ষেপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ইস্যু সমাধান করা যেতে পারে কেবল একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও ভৌগোলিকভাবে অব্যাহত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে। যা ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে এর রাজধানী পূর্ব জেরুজালেম হওয়ার মাধ্যমে।
এদিকে শনিবার এক টুইট বার্তায় কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাশিম থাচি এক টুইট বার্তায় বলেন, আমি কসোভোকে স্বীকৃতি প্রদান ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সত্যিকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। কসোভো জেরুজালেমে তার কূটনৈতিক মিশন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি রাখবে।
কসোভো ইউরোপের বলকান অঞ্চলের একটি রাষ্ট্র। এটি আগে সার্বিয়ার একটি প্রদেশ ছিল। প্রদেশটি ১৯৯৯ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রদেশটির ওপর সার্বিয়ার সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়েছে। কার্যত এটির ওপর সার্বীয় শাসনের প্রয়োগ নগণ্য।
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এটি স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশ কসোভোকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কসভোর সীমান্তে মন্টেনিগ্রো, আলবেনিয়া ও ম্যাসিডোনিয়া অবস্থিত। এর জনসংখ্যা ২০ লাখ। এদের বেশিরভাগই জাতিগতভাবে আলবেনীয়। তবে সার্বীয়, তুর্কি, বসনীয়, জিপসি ও অন্যান্য জাতির লোকেদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ও রাজধানীর নাম প্রিস্টিনা।
ইয়েনি শাফাক