ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী বুহস্পতিবার থেকে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে পরিশোধের সর্বোচ্চ সীমা পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে দৈনিক ২০ বারে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করা যাবে। আর ব্যক্তি লেনদেনের ক্ষেত্রে ১০ বারে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উভয় পর্যায়ে দৈনিক পাঁচবারে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা লেনদেন করা যায়। রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের (এনপিএসবি) আওতায় থাকা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর আন্তঃব্যাংক সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ উপায়ে লেনদেন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এনপিএসবির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং তহবিল স্থানান্তরের লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা পুনর্নির্ধারণ করা হলো। লেনদেনের পুনর্নির্ধারিত সীমা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এনপিএসবি চ্যানেল ব্যবহার করে ব্যাংকগুলোর আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের লেনদেন হয়ে থাকে। বর্তমানে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে যুক্ত আছে ২৪টি ব্যাংক।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৯২ হাজার লেনদেনের বিপরীতে ১৯৫ কোটি টাকা পরিশোধ হয়। মার্চের পরের তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এপ্রিল থেকে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের লেনদেনের চাহিদা বেড়েছে বলে জানা গেছে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ছাড়াও এনপিএসবি চ্যানেল ব্যবহার করে কার্ডভিত্তিক এটিএম এবং পয়েন্ট অব সেলসের লেনদেন হয়ে থাকে। গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা মোট কার্ড রয়েছে দুই কোটি ১৯ লাখ। এর মধ্যে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা এক কোটি ৯৭ লাখ। আর ক্রেডিট কার্ড প্রায় ১৬ লাখ। বাকি ছয় লাখের মতো রয়েছে প্রি-পেইড কার্ড।