কখনও লক্ষ্য করেছেন কি? শীতের দিনে আমাদের ক্ষুধার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মতে, শীতের সময় আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শীতে আমাদের ত্বক তুলনামূলকভাবে বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এসময় ঠাণ্ডাজনিত রোগ অনেক বেশি দেখা যায়। তাই অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিৎ। এ সময় যে সকল খাবার খাওয়া প্রয়োজন তা নিম্নে আলোচনা করা হল-
১. শাকসবজি:
সারা বছর ধরেই আমাদের খাদ্যতালিকায় শাকসবজিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ এর কোন অপকারিতা নেই। তবে এর উপকারিতার কোন অভাব নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ থাকার কারণে এটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
২. মসলা:
গোল মরিচ, লবঙ্গ, দারচিনি ইত্যাদি সহ সকল মসলাদি শীতকালে বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিৎ। এটি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। কাশি ও সর্দি দূর করতে এদের উপকারিতা অনেক। গরম পানির সাথে এসকল মসলাদি সেদ্ধ করে পানি পান করুন। তাহলে খুব সহজে ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
৩. শুঁকনো ফল:
শুঁকনো ফল অর্থাৎ বাদাম, কিসমিস, এপ্রিকট ইত্যাদি শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। তাই শীতের সময় এগুলো খেতে পারেন।
৪. ফল:
তাজা ফল যেমন- কমলা, পেঁপে, আমলকী ইত্যাদি ভিটামিন সি দিয়ে ভরপুর ফল খেতে পারেন। এতে আপনার ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতায় উপকার হবে।
৫. প্রাকৃতিক মিষ্টি:
প্রাকৃতিক মিষ্টির উৎস অর্থাৎ গুঁড় ও মধু চিনির পরিবর্তে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আপনার পরিপাক তন্ত্রের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং এটি আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা সঠিক রাখবে।