যোগ্য দল হিসেবেই যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড তা যেন ভালোভাবেই দেখিয়ে দিচ্ছে দেশটি।করোনা পরবর্তী সময়ে দূর্দান্ত খেলছে দেশটি।
শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এরপর পাকিস্তান, সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়াকেও নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছাড়ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বর্তমানে ওয়ানডেতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও কি টেস্ট, কি ওয়ানডে আর কি টি-টোয়েন্টি - তিন ফরম্যাটেই আধিপত্য ধরে রেখেছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চলমান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিজেদের করে নিল থ্রি লায়ন্সরা। আজ সাউদাম্পটনের রোজ বোলে ইংলিশ ওপেনার জস বাটলার একাই হারিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার মত শক্তিশালী দলকে।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন ইংলিশ ওপেনার জস বাটলার। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ৪৫ বল খেলে একাই ৭৭ রান করেন বাটলার। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি ছক্কার মার মারেন ২টি। তার এই ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ইংল্যান্ডকে সহজ জয় এনে দিলো। একই সঙ্গে সিরিজও। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠলো তার হাতে।
বাটলারের সঙ্গে অসি বোলারদের দারুণ মোকাবেলা করেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ডেভিড মালান। ৩২ বল খেলে ৪২ রান করে আউট হন তিনি। বাউন্ডারির মার মারেন ৭টি।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জনি বেয়ারেস্টর উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। দলীয় ১৯ রানের মাথায় হিট উইকেটে আউট হয়ে যান বেয়ারেস্ট। ১১ বলে ৯ রান করেন তিনি। এরপরই বাটলার আর মালান জুটি বাধেন। এই জুটিতে উঠে আসলো গুরুত্বপূর্ণ ৮৭টি রান।
ডেভিড মালান আউট হওয়ার পর অবশ্য দ্রুত ফিরে যান টম ব্যান্টন (২ রানে) এবং অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান (৭ রানে)। শেষে মঈন আলি ৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ সর্বোচ্চ ৩৩ বলে করেন ৪০ রান। এছাড়া মার্কাস স্টইনিজ করেন ২৬ বলে ৩৫ রান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৬ এবং অ্যাস্টন অ্যাগার করেন ২৩ রান।
সানবিডি/এনজে