নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) তৃতীয় বারের মতো যাত্রা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা "হাল্ট প্রাইজ"।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.দিদার-উল-আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্সেস (আইআইএস) এর সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাবিবা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন হাল্ট প্রাইজের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর সাবিহা তাসমিম।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ,ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্সেস (আইআইএস) এর সহকারী অধ্যাপক (শামীমা ইয়াসমিন,রাজেশ কুমার দাশ) এবং প্রভাষক (মো.ইমদাদুল ইসলাম,মো.আবদুল করিম)।
নোবিপ্রবিতে হাল্ট প্রাইজের বিগত ২ বছরের কার্যক্রম ও সাফল্যযাত্রা তুলে ধরে এইবারের কার্যক্রম নতুনভাবে পরিচালনার জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ফারুক উদ্দিন বলেন, হাল্ট নোবিপ্রবির সম্মান বাড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে সারা বিশ্বের বুকে নোবিপ্রবিকে পরিচয় করেই দিচ্ছে।
প্রধান অতিথি উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ক্লাস লেকচার ও পরীক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যখন কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিস হিসেবে হাল্ট প্রাইজ এর মত উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় তাদের মেধা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি হাল্ট প্রাইজ এর উত্তোরত্তোর সফলতা কামনা করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেন, সর্বদা হাল্ট প্রাইজের মত আয়োজনের সাথে যেন সকল শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত থেকে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতে গড়ার চেষ্টা করে।
এছাড়াও প্রোগ্রামে হাল্ট প্রাইজের নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসের আয়োজক দলের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের নোবেল প্রাইজ হিসেবে খ্যাত হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতাটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা; যা প্রতিবছর বিশ্বের ১০০ এর অধিক দেশে আয়োজিত হয়ে থাকে এবং এই প্রতিযোগিতাটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘ, ক্লিনটন ইনিশিয়েটিভস্ (আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এর সংস্থা) এবং হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল।এইবারের প্রতিযোগিতাটির প্রতিপাদ্য হলো-" ফুড ফর গুড" যেই আইডিয়ার মাধ্যমে অর্থনীতি উন্নয়নে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান তৈরি সম্ভব।
সানবিডি/আরএম/১৯.১৮/৯/৯/২০