চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে বন্ধ হয়ে যায় কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রফতানি। দেশটিতে আবারো কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রফতানি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও রফতানিকারকরা। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রফতানির এ খাতটি বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।
আজ শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান উদ্যোক্তারা ও খাত-সংশ্লিষ্টরা।
এই মানববন্ধনে বলা হয়, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া খাতে উৎপাদন, সরবরাহ, পরিবহন ও রফতানি সংশ্লিষ্ট কাজে দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ জড়িত। কিন্তু গত ২৬ জুন থেকে চীনের বাজারে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রফতানি বন্ধ আছে। রফতানি বন্ধ থাকায় সবাই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
এসময় বক্তারা বলেন, পণ্যটির ৯০ শতাংশ চীন-নির্ভর। গত অর্থবছরে শতভাগ অপ্রচলিত এই পণ্য থেকে সরকার প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তবে রফতানি বন্ধ থাকায় তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
এই পণ্যটির ৯০ শতাংশ চায়না নির্ভর। সুতরাং চীনে রফতানি বন্ধ থাকায় আমাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। ব্যাংক, এনজিও ও ব্যক্তিগত ঋণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ খাত সংশ্লিষ্টদের জীবন। এমতাবস্থায় পুনরায় রফতানি চালুর পাশাপাশি ব্যাংক ও এনজিওর ঋণ মওকুফের দাবি জানিয়েছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।
শাহ সুজা মিল্লাতের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শওকত আলী মামা, ভজন কুমার সাহা, সিহাব উদ্দিন সিহাব, রুমেল সরকার, গোপাল বিশ্বাস প্রমুখ।
সানবিডি/এনজে