গভীর বঙ্গোপসাগরে গত কয়েকদিন ধরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছিল প্রচুর ইলিশ। তবে হঠাৎ করেই বঙ্গোপসাগরে কম ধরা পড়ছে ইলিশ। এ নিয়ে মন খারাপ জেলেদের। তবে কম ধরা পড়ায় দাম বেড়েছে ইলিশের।
শনিবার অল্প পরিমাণ ইলিশ নিয়ে পটুয়াখালীর মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরে এসে ভিড়ে কয়েকটি ট্রলার। ট্রলার থেকে ঝুড়িতে করে ইলিশ এনে আড়তে ফেলেন শ্রমিকরা। সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বিক্রি হয়ে যায় ইলিশগুলো। অথচ তিনদিন আগেও ইলিশের এত চাহিদা ছিল না। হঠাৎ ইলিশ কম ধরা পড়ায় চাহিদা বেড়েছে। এজন্য পাইকারি ক্রেতারা অল্প সময়ের মধ্যে দরদাম শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য কার্টনে ভরা শুরু করেন ইলিশ।
এ বিষয়ে জেলেরা বলছেন, সাগরে জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়বে ইলিশ- এমন ভাবনা একেবারেই ভুল। মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তবে অধিকাংশ সময় ইলিশ কম ধরা পড়ে। গত তিনদিন তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। এর আগের দিনও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছিল। আগামী সপ্তাহে আবার ইলিশ ধরা পড়তে পারে। তবে নিশ্চিত করে বলা যায় না। ইলিশ ধরা পড়লে একদিনে লাখপতি। ধরা না পড়লে ট্রলার ভাড়া, তেল এবং যাবতীয় খরচ পকেট থেকে দিতে হয়।
শনিবার মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ বিক্রি করতে আসা ভোলার মনপুরা উপজেলার জেলে মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ ৫০ মণ ইলিশ ও বিভিন্ন প্রজাতির ১০ মণ সামুদ্রিক মাছ নিয়ে আড়তে এসেছি। বড় ট্রলারে ১৫০ মণ ইলিশ ধরে। সাগরে প্রচুর মাছ আছে। তবে ধরা পড়ছে কম। তবে দাম একটু বেশি।
তিনি বলেন, আজ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের মণ ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় গ্রেডের অর্থাৎ ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আজ পাইকাররা কম এসেছেন।
একই এলাকার জেলে মালেক মিয়া বলেন, আমার ট্রলার ছোট। গভীর সাগরে যেতে পারি না। তাই কম মাছ পাই। সাগরের মধ্যে ভালো পানি দেখলে যখন লাল জাল ফেলা হয় তখন সব মাছ তাদের জালে ধরা পড়ে। আমাদের জালে ধরা পড়ে না। ইলিশ কখন কার জালে ধরা পড়বে তা কেউ জানে না।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ইমদাদুল্লাহ বলেন, হঠাৎ করে জেলেদের জালে ইলিশ কম ধরা পড়ার সঠিক কারণ আমার জানা নেই।