করোনায় বাংলাদেশের মতো মতো শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকের সামনে কিছু সুযোগও তৈরি করেছে। এ দেশের পোশাক কারখানাগুলো এ সুযোগ ও পরিবর্তনগুলোকে গ্রহণ করে নতুন কর্মপরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। বাজারের এ পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে নতুন ব্যবসা পাওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি করতে পারে।
তৈরি পোশাক খাত, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে সম্প্রতি দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ, সেরাই লিমিটেড ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এমন কথা বলেছেন বক্তারা। এতে অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামীর সম্ভাবনা ও কৌশলের বিষয়ে আলোচনা করেন বিজিএমইএর সদস্য, এইচএসবিসির গ্রাহক, নীতিনির্ধারক, বিভিন্ন দেশের ক্রেতা ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মাহবুবউর রহমান বলেন, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন উন্নতি হলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এখনও ১৫০ বছর আগের মতো জটিল রয়ে গেছে। প্রযুক্তিগত বিভিন্ন উদ্ভাবনের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ ও সাসটেইনেবল সাপ্লাই চেইন বর্তমান ক্রেতাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। সেরাই এমন একটি ওপেন সোর্স সেয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে পোশাক শিল্পে ডুপ্লিকেশন ও খরচ কমবে, নির্ভরযোগ্য সম্পর্ক পুনর্গঠিত হবে এবং যার ফলে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, তৈরি পোশাক খাত নতুন ভোক্তা চাহিদার সঙ্গে সার্বিকভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারলে এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগাতে পারলে এ শিল্প এগিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে বি-টু-বি একটি কার্যকরী কৌশল হতে পারে।
এইচএসবিসির প্রযুক্তি সহযোগী কোম্পানি সেরাইয়ের সিইও বিবেক রামাচন্দ্রন নিবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, সেরাই একটি ডাটানির্ভর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা প্রদান করবে। ওয়েবিনারে আরও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বেইন অ্যান্ড কোম্পানির কর্মকর্তা কানাইয়া পারেখ।