মেয়েকে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হচ্ছিলেন মা। কয়েজ গজ এগোতেই হাঁপাতে-নাপাতে এলেন দুই যুবক-যুবতি। ‘একটা কল করতে দিন না, প্লিজ। খুব বিপদে পড়েছি।’ পথ আটকে এমনই আকুতি জানাচ্ছিলেন তারা। একটা কলই তো। কী আর এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে!
মা মুঠোফোনটি দিলেন। পরে ওরা মেয়েকে ইঙ্গিত করে বলল, ‘না, এটাতে কল যাচ্ছে না। আপনারটা দিন তো।’ মুঠোফোন দিলেন মেয়েও। তারপর মা-মেয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখলেন ওই যুবক-যুবতি মুঠোফোন নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে!
চোরও যে এমন সৃষ্টিশীল তা জানা গেল সিলেট নগরীর লামাবাজার এলাকার এক ঘটনায়। অভিনব কৌশলে মা-মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে চোরচক্রের দুই সদস্য।
সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। মুঠোফোন হারিয়ে বিমর্ষ মা-মেয়ে দুজন। পরে কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নাজমা। তিনি মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার সিকন্দর আলী রোড এলাকার আব্দুল মতিনের স্ত্রী।
নাজমা খানমের ছোট মেয়ে বীথি। মদনমোহন কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সেই সুবাদে তিনি সোমবার সকালে সিলেটে আসেন।
কলেজে বীথির কাজ শেষ করে তিনি আম্বরখানার উদ্দেশে মদনমোহন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হন। কয়েক গজ যাওয়ার পর ওই যুবক-যুবতি তাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন।
কথা বলার এক পর্যায়ে অজ্ঞাত ওই যুবক-যুবতি তাদের সাংবাদিক পরিচয় দেন। তাদের পরিবারে যে পুলিশের বড় কর্মকর্তা আছেন, এই বলে হাম্বড়া ভাবও দেখান।
মোবাইল দুটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর কৌশলে উধাও হয়ে যান অজ্ঞাত ওই যুবক-যুবতি। এর পর রাতেই কোতোয়ালী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন তারা। একটি সাধারণ ডায়রিও করেছেন বলে জানান নাজমা খানম।
কোতোয়ালী থানার ওসি সোহেল আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমি এখন অফিসের বাহিরে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’