সাম্প্রতিক সময়ে তেল গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। গ্রিসের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই কৃষ্ণসাগরে আরেকটি অনুসন্ধান জাহাজ পাঠাচ্ছে তুরস্ক। এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তুরস্কের জ্বালানীমন্ত্রী ফাতেহ দোনমাজ এক টুইট বার্তায় জানান, তার দেশ কৃষ্ণসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আরেকটি জাহাজ পাঠাচ্ছে। শিগগিরই ‘কানুনি’ নামের জাহাজটি তার কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি। অবশ্য কৃষ্ণসাগরের ঠিক কোন জায়গায় এ অনুসন্ধান চালানো হবে তা স্পষ্ট করেননি ফাতেহ দোনমাজ।
তুরস্ক সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া সরকারের সঙ্গে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান বিষয়ক চুক্তি সইয়ের পর থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের খনিজ সম্পদ নিয়ে তুরস্ক, গ্রিস ও সাইপ্রাসের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
গ্রিসের বিরোধিতা সত্ত্বেও সাগরের বিতর্কিত এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা। এজন্য তারা সাগরে গবেষণা ও অনুসন্ধান জাহাজ পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, গ্রিস তুরস্কের জাহাজকে নজরদারি করার জন্য তার সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।
অন্য দিকে , তুরস্কের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান এই উত্তেজনার মধ্যেই গ্রিস বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেনার কথা ঘোষণা দিয়েছে। গ্রিস নতুন যেসব অস্ত্র কিনবে তার মধ্যে রয়েছে ১৮টি ফরাসী রাফালে যুদ্ধবিমান, চারটি ফ্রিগেট এবং চারটি নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশটির সেনাবাহিনীতে আরো ১৫ হাজার সৈন্য যোগ করা হবে।
এসব অস্ত্র ছাড়াও নৌবাহিনীর জন্য টর্পেডো, ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিমান বাহিনীর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে যাচ্ছে গ্রিস। ফলে গত দু'দশকের মধ্যে এটিই হবে গ্রিসের সবচেয়ে বড় আকারের অস্ত্র ক্রয়।
গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস বলছেন, 'আমাদের সময় এসেছে সশস্ত্রবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার। এবারের অস্ত্র ক্রয় এমন একটি কর্মসূচি যা দেশের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করবে।