আবারও গতি হারালো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট। দীর্ঘ মন্দার পর নতুন কমিশনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দেশের পুঁজিবাজার। কিন্তু সেই ধারাকে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে ডিএসইর ওয়েবসাইটটি।
লেনদেনের পরিমান বৃদ্ধির সাথে সাথে গতি হারাচ্ছে ডিএসইর ওয়েবসাইট। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গত সোমবার তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছে কমিশন।
আজ মঙ্গলবার লেনদেন শুরু থেকেই গতি পাচ্ছে না ডিএসইর ওয়েবসাইট। বিভিন্ন জায়গা থেকে সানবিডিকে ফোন করে অভিযোগ জানান ব্যবহারকারীরা।
এর আগে নতুন সফ্টওয়্যার চালুর পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেখা দেয়া ভোগান্তির জন্য ডিএসইর ইচ্ছাকৃত ভুল বা জালিয়াতির তথ্য পায়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) বিভাগের দুর্বলতা ও না বোঝার কারণে ওয়েবসাইট ওই ভোগান্তি হয়েছিল। গত ১৮ আগস্ট আপডেট ভার্সনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করে ডিএসই।
উদ্বোধনের পরে ১৯ ও ২০ আগস্ট ওয়েবসাইটে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। এরপর বিষয়টি তদন্তে ২৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করে বিএসইসি।
তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসিফ হোসাইন খান, আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম, বিএসইসির পরিচালক রাজিব আহমেদ, উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও সহকারি পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামকে।
তদন্ত কমিটি ১৪ সেপ্টেম্বর বিএসইসিকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ১০০ পৃষ্ঠার এই তদন্ত রিপোর্টে ডিএসইর আইটি নিয়ে অনেক সমস্যার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ডিএসইর আইটিতে বড় ধরনের দুর্বলতার তথ্য তুলে ধরে বেশ কিছু সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
সানবিডি/এসকেএস/১০:৩৭/১৫/৯/২০