পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া বীমা খাতের কোম্পানি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মুনাফা থাকার পরও লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে তলব করেছিলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কৰিশশনের সাথে দীর্ঘ আলোচনায় পর একটি ফলপ্রসু সিদ্ধান্তের দিকে হাটছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটি অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দিতে চায়। এ জন্য কোম্পানিকে একটি অডিট ফার্ম নিয়োগ দিতে বলেছে বিএসইসি। অডিটফার্মের আর্থিক প্রতিবেদন নীরিক্ষার পরেই সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
জানা গেছে কমিশন তলবের পর আজ মঙ্গলবার কমিশনে দেখা করেন কোম্পনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোম্পানি সচিবসহ কর্তৃপক্ষ। সেখানে ফলপ্রসু একটি আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, কমিশন তলব করার পর এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা কমিশনে আসলে সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত আলোচনা ফল প্রসু হয়েছে।
জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েই বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা শুরু করে বীমা খাতের কোম্পানিটি। তারা আইন লঙ্ঘন করে প্রতারণা করে। সে জন্য বিএসইসি) কোম্পানিকে তলব করে।
কোম্পানি সূত্র মতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। গত বছরের তুলনায় ভালো মুনাফা করার পরও কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ফলে বিএসইসি তাদের তলব করেছে।
আয়কর অধ্যাদেশ ১৬ ধারার জি-তে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন অর্থ বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ রিটেইন আর্নিংস, ফান্ড, সার্ভিস অথবা সারপ্লাস হিসেবে রাখতে পারবে। অর্থাৎ মুনাফার ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদেরকে বোনাস বা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে দিতে হবে। একই সাথে কোম্পানিটি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আগেই তাকে লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। লভ্যাংশ না দিলে এর জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। এটি কোনভাবেই সমন্বয় করা যাবে না।
উল্লেখ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে গত ২৪ আগস্ট। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য পুঁজিবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়েছে। সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩১ টাকা ৯০ পয়সায়।