[caption id="attachment_9916" align="alignright" width="507"] নমুনা ছবি[/caption]
কলপাড়ে হাতমুখ ধুতে গিয়েছিল তরুণী মল্লিকা চক্রবর্তী (২০)। স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সে। হঠাৎই কলপাড়ের পাশে এক বোরকা পরিহিত ব্যক্তিকে দেখতে পায় মল্লিকা। তাকানো মাত্রই তার দিকে ছুড়ে মারা হয় তরল দাহ্য পদার্থ। তারপর আর্তচিৎকার। কলপাড়ে মা-বাবার ছুটে আসা। কিন্তু তার আগেই গৌরকান্ত মুখের পুরোটাই ঝলসে গেছে!
বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি ফর্শা, সুদর্শনা মল্লিকা চক্রবর্তী কি জানত ওই মুখের দিকে তাকালেই আঁতকে উঠবে সে?
সোমবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে সাভারের ধামরাইয়ে নিজ গ্রাম টুপিরবাড়িতে এ পৈশাচিক কাণ্ড ঘটায় বোরকা পরিহিত এক ব্যক্তি। তবে ওই হামলাকারী পুরুষ না নারী ছিল, তা অন্ধকারে টের পায়নি মল্লিকা। আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।
মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে ইতিহাসের ছাত্রী মল্লিকা চক্রবর্তী। বাবা স্বপন চক্রবর্তী। আর্থিক অবস্থাও তেমন ভাল নয়। সুপারির ব্যবসা তার। বার্ন ইউনিটে ভর্তি মেয়ের দিকে তাকালেই চোখে জল আসছে তার।
মঙ্গলবার সকালে মল্লিকা এই প্রতিবেদককে জানায়, গ্রামের বাড়ির ঘর থেকে হাতমুখ ধোয়ার জন্য কলপাড়ে গিয়েছিল সে। ওই সময় বোরকা পরিহিত কেউ একজন এসিড মেরে পালিয়ে যায়।
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কেউ এ কাণ্ড ঘটাল কি না জিজ্ঞেস করতেই মল্লিকা বলে, ‘না, এ ধরনের কিছুই হয়নি। জানিও না। আমাদের কোনো শত্রু নেই। বাবারও তো কোনো শত্রু নেই।’ তবে কারা ঘটাল এই বর্বর পৈশাচিক কাণ্ড? কারা ভেঙে দিতে চাইল মল্লিকার স্বপ্ন-সুন্দর জীবন? এর উত্তর অজ্ঞাতই রয়ে গেল!
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, ‘সিম্পটম (লক্ষণ) দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি কেমিক্যাল বার্ন। শরীরের ৮ শতাংশ ঝলসে গেছে।’ অর্থাৎ পুরো মুখমণ্ডলই ঝলসে গেছে এই কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির।