যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় স্যালি ব্যাপকভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে । স্যালি’র প্রভাবে সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। এতে করে ভারি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিভিন্নভাবে দুই মাত্রার শক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার সকালে উপসাগরীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় এই ঝড়। ফ্লোরিডার পেনসাকোলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার আঘাত হানার পর এই ঝড়ের শক্তি কিছুটা কমেছে। ঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতে বেশ কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
পেনসাকোলার দমকল বাহিনীর প্রধান গিনি ক্রেনর সিএনএন-কে বলেন, চার মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় এই ঝড়ে চার ঘণ্টাতেই সেই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
স্যালি আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০৫ মাইল বা ১৬৯ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর-মধ্যাঞ্চলের উপসাগরীয় উপকূলে বন্যা হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)।
এছাড়া অন্তত দুই ফুট (৬০ সেমি) বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। উপসাগরীয় উপকূলে আছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড় স্যালি ঘণ্টায় তিন মাইল বেগে আলাবামা-ফ্লোরিডা সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
এর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত মিসিসিপি থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে এনএইচসি।
ঘূর্ণিঝড় থেকে নিরাপদ থাকতে আগেই উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।ঐ অঞ্চলের বন্দর, স্কুল, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সান বিডি/নাজমুল/১০:৪১/১৭.০৯.২০২০