দুনিয়ার সেরা ২০টি উন্নত দেশের দশটা বড় সমস্যার মধ্যে প্রথমের দিকে আছে শিশু বা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি। ভারত শিশু পর্নোগ্রাফি রুখতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে বিশ্বের ৩০ হাজার মানুষ পর্নোগ্রাফিক সিনেমা দেখছেন। ৩৭২ জন মানুষ গুগল সার্চে লিখছেন অ্যাডাল্ট বা পর্ন জাতীয় সিনেমা বা ছবি। পর্ন ইন্ডাস্ট্রি হলিউড, গুগল, এনএফএল, ইয়াহু, ইবে, আমাজনের থেকেও অনেক বেশি বড় ও লাভবান। সেক্স ইন্ডাস্ট্রি (পর্ন সিনেমা, দেহব্যবসা, স্ট্রিপ ক্লাব, নারী পাচার) হল বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।
সাধারণ পুরুষ পর্ন অভিনেতারা ছবি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা রোজগার করেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে রোজগারের অঙ্কটা দ্বিগুণ আর সমকামী পর্নের ক্ষেত্রে রোজগারটা সাধারণ ক্ষেত্রের তিন গুণ হয়। তবে পর্নস্টার বা পর্ন তারকারা ঘণ্টায় ১ হাজার থেকে ৫ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা রোজগার করেন।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্ন সিনেমা তৈরি হয় আমেরিকায়। আমেরিকায় প্রতি ৩৯ মিনিটে একটি পর্ন ছবি তৈরি হয়। দু নম্বরে জার্মানি। আমেরিকায় সপ্তাহে গড়ে ৫০০টি ও জার্মানিতে ৪০০টি পর্ন সিনেমা তৈরি হয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ২টি রাজ্যে পর্ন ছবি তৈরিতে অনুমতি আছে।
১০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অনলাইনে পর্ন দেখে। এক সমীক্ষায় প্রকাশ যে দেশে পর্নোগ্রাফিক সিনেমা দেখার বিষয়ে কোনও বাধা নিষেধ নেই সেখানে যৌন হিংসা বা অপরাধের সংখ্যা কম হয়। আরেক সমীক্ষায় প্রকাশ পর্ন সিনেমা বেশি দেখা দেশে, যৌন অপরাধের সংখ্যা তুলনায় বেশি।
গোটা বিশ্বে সাড়ে চার কোটি পর্ন ওয়েবসাইট আছে। দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের প্রতি মাসে পেজ ভিউজ সিএনএন, ইএসপিএনের তিন গুণ। প্রতি সেকেন্ড পর্নগ্রাফির পিছনে খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ