বাংলাদেশে তৈরি জাহাজ চলবে প্রশান্ত মহাসাগরে
আপডেট: ২০১৫-১২-১৫ ২১:০১:১৭
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে নির্মিত আন্তর্জাতিক সোলাস যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এম ভি মাটালিক’ চলবে পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর প্রশান্ত মহাসাগরে। ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ জাহাজটি প্রশান্ত মহাসাগরে নিউজিল্যান্ড নিয়ন্ত্রিত তোকেলাউ অঞ্চলের অধিবাসীদের পরিবহনে ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছেন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
দুই বছর ধরে নির্মাণের পর গত সোমবার নিউজিল্যান্ড মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও মার্কিন ইলিকট ডের্জ্রাস এর প্রেসিডেন্ট পিটার বাও’ এর কাছে এ জাহাজটি হস্তান্তর করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডীয় রাষ্ট্র্রদূত হিজ এক্সিলেন্সি বিনোয়েট পিঁয়েরে লারামি, মার্কিন ইলিকট ডের্জ্রাস এর প্রেসিডেন্ট পিটার রাও ও শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সায়ফুল ইসলামসহ প্রমুখ।
ওয়েস্টার্ন মেরিন সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশগ্রহণ করে গত বছরের শুরুর দিকে জাহাজ নির্মাণের দায়িত্ব পায় ওয়ের্স্টান মেরিন ইয়ার্ড। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম শিপইয়ার্ডে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দুই বছর ধরে নির্মিত ‘এম ভি মাটালিক’ জাহাজটি ৬০ জন যাত্রী ছাড়াও ৫০ টন পণ্য পরিবহণ করতে পারবে। জাহাজটি নির্মাণে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল সংস্থা ‘আইএমও’ নীতিমালা অনুসরণ এবং লয়ের্ডস রেজিস্ট্রার ‘ইউকে’ তত্ত্বাবধানে ছিল। জাহাজটি ৪৩ মিটার লম্বা ও পরিবেশ বান্ধব মেশিনারি দ্বারা সংযোজিত; যা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি পরিবেশ অনুকূল নৌযান হিসেবে চলাচল করতে সক্ষম হবে।
শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউজিল্যন্ডের জন্য নির্মিত এ জাহাজটি বাংলাদেশের সমগ্র জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য এক অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। কেননা এই জাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাতাদের মানসম্পন্ন দক্ষতার পরিচিতি সম্প্রসারিত করবে। এরই প্রেক্ষিতে সেখানকার জাহাজ মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। ইতোপূর্বে ওয়েস্টার্ন মেরিন এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা ও ইউরোপ অঞ্চলের জন্য জাহাজ নির্মাণ করে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।