টানা বর্ষণ ও নেমে আসা ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী এলাকায়।
যমুনা নদীতে গত চার দিন ধরে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। ফলে যমুনা নদী যেনো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। শনিবার দুপুরে যমুনার হঠাৎ করেই সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী এলাকার ভাঙন দেখা দেয়। প্রবল স্রোতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে পাঁচঠাকুরী এলাকার একটি মসজিদ। হুমকির মুখে পড়েছে পাঁঠাকুরী, পাড় পাচিল, মাছুয়াকান্দিসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। এলাকাবাসির দাবি, ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন করার।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একদিকে যমুনায় হাজারো মানুষের বিলাপ অন্য দিকে পাউবোর নির্বাক ব্যবস্থাপনা। এলাকাবাসির অভিযোগ, গতকাল থেকে এখানে ভাঙ্গন শুরু হলেও পাউবো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যদি নৌকাযোগে বালির বস্তা ফেলা হতো তাহলে আজ মসজিদটি রক্ষা হতো। গ্রামের একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন মসজিদটি বিলীনের পর থেকে মানুষ শুধু চোখের পানি ফেলছে। তাদের দাবি এই মুহুর্তে সরকার যদি এখানে দ্রুত ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে যেটুকু সম্বল আছে সেটাও যমুনার পেটে চলে যাবে।
এই এলাকার মানুষের দাবি, তারা ত্রাণ নয়, চায় নিশ্চিন্তে ঘুমানোর গ্যারান্টি। এজন্য তারা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানান। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সানবিডি/এনজে