নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে আগামী ১অক্টোবর থেকে সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা। উক্ত মানববন্ধনটির আয়োজন করেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি ও কর্মচারী নেতৃবৃন্দরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবুল হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান, সহ-সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান রিমন, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। অস্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রায়হান আহমেদ রিমন ও সাদিয়া আফরোজ, কর্মকর্তাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন এবং কর্মচারীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন টিটু চন্দ্র দাস।
অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান প্রশাসন কারো রাজনীতি বুঝি না। আমরা বুঝি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে অতি দ্রুত অস্থায়ী কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে স্থায়ীকরণ করা হয়।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন,‘করোনাকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অস্থায়ী শিক্ষকদের নিয়োগের ১ বছর পর স্থায়ী শিক্ষকদের নিয়োগ হলেও তাদের প্রমোশন হচ্ছে। কিন্তু অস্থায়ী শিক্ষকদের প্রমোশন হচ্ছে না। এছাড়া অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ না হওয়ার ফলে তারা উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো ভালো স্কলারশিপ পেলেও যেতে পারছেন না।’
বক্তারা আরো বলেন, 'উপাচার্য নোবিপ্রবিতে যোগদানের পর হতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তথা একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
করোনা মহামারীতেও জীবনের ঝুকি নিয়ে কোভিট ল্যাব পরিচালনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো বিভাগেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, ২ জন শিক্ষক দিয়ে ২টি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।
সান বিডি/নাজমুল/০৬:২৩/২০.০৯.২০২০