বিকশিত পুঁজিবাজার দেখতে চায় সরকার:প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-০৬-১৫ ১২:২২:০৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি উন্নত আর্থনীতির জন্য একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার প্রয়োজন। পুঁজিবাজার। শিল্প বিনিয়োগে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সংগ্রহের আদর্শ মধ্যম হচ্ছে পুঁজিবাজার। এ বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক উদ্যোগ নিচ্ছি।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে ব্যাংকের মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো হবে। ব্যাংক কোম্পানী আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। যেসব ঋণগ্রহীতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে পরিশোধ না করার জন্যই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী হয়ে যান, সেই সমস্ত ঋণ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। দেশের শিল্প ও ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগীতা সক্ষম করতে আমরা ব্যাংক ঋণের উপর সুদের হার এক অংকের উপর অর্থ্যাৎ সিঙ্গেল ডিজিটের মধ্যে রাখব।
বৃহৎ ঋণগুলোকে আরও নিবিড়ভাবে পরীবিক্ষণ ও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা পুঁজিবাজারে সুশাসন দেখতে চাই। আমাদের দেশের জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনীতির পাশাপাশি আমরা দেখতে চাই একটি বিকশিত পুঁজিবাজার। শিল্প বিনিয়োগে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সংগ্রহের আদর্শ মধ্যম হচ্ছে পুঁজিবাজার। এ বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক উদ্যোগ নিচ্ছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।
গতকাল বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট।
দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে বাজেট উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিকেল ৪টার পর অসুস্থ অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন সম্ভব না হওয়ায় স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাকি অংশ সংসদে উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।