কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহারের দাবি ফিআবের
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১০-২৬ ১৩:০৯:৫৫
পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ফিডের কাঁচামাল, একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগাম করসহ সব ধরনের কর ও শুল্ক প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছে ফিড ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফিআব) । সেইসঙ্গে ডিম, দুধ, মাছ ও মাংস আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি কর কাঠামো প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনটি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
ফিআবের নেতারা বলছেন, তারা দেশের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগির মাংস দিতে চান। অধিক পরিমাণ মাংস, ডিম ও পোল্ট্রিজাত খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে শুধু খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখাই নয়, বরং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনেও তারা অনেক বেশি জোর দিচ্ছেন। প্রতিযোগিতামূলক রফতানি বাজারে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা না পেলে তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফিড ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ফিআব) সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান। বক্তব্য দেন ফিআবের সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ কাউন্সিল (বিপিআইসি) সভাপতি মসিউর রহমান, সহ-সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ ও ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি রকিবুর রহমান টুটুল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যানুসারে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দেশে ১ হাজার ৭১০ দশমিক ৯৭ কোটি ডিম, ৭৫ দশমিক ১৪ লাখ টন মাংস এবং ৯৯০ কোটি লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। ২০১৭ -২০১৮ অর্থবছরে ৪২দশমিক ৭৭ লাখ টন মাছ উৎপাদন হয়। কাজেই দেখা যাচ্ছে দেশে যদি বাণিজ্যিক খামার গড়ে উঠতো তাহলে প্রতি বছর শুধু ডিম, দুধ এবং,মাংসবাবদ বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতো।
পোল্ট্রি শিল্পের দাবি ছিল অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ খাতটিকে কর অব্যাহতি প্রদান করা। কিন্তু বাস্তবে সে দাবি তো পূরণ হয়নি। উপরন্তু ২০১৫ ও ২০১৬ পরবর্তী বছরগুলোয় করের বোঝা অব্যাহতভাবে বাড়ানো হয়।
তারা বলেন, মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে চলতি বছরের বাজেটে আগাম কর যুক্ত করা হয়েছে এবং সেই স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে উৎস কর আরোপ করা হয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/এবিএস